বাংলার রূপ,নিউজ ডেস্ক।।
করোনা পরিস্থিতিতে শহর জুড়ে চলছে লকডাউন। আর তারই মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা,করোনা সতর্ক অবলম্বনে ছেলেকে মাস্ক ব্যাবহার করতে বলে বাবা কিন্তু ছেলেটি বাবার কথা না শোনায় রাগের মাথায় খুন করেন ছেলেকে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্যামপুকুর থানায় ডিউটি অফিসারের সামনে হঠাৎ এক বৃদ্ধ হাজির হয়ে এসব কথাই বলতে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, নিজেকে বংশীধর মল্লিক পরিচয় দিয়ে তিনি জানান, ছেলেকে খুন করে এসেছেন! আত্মসমর্পণ করতে চান। অফিসার হতভম্ব। পরে সব শুনে বংশীধরবাবুর বাড়িতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় তাঁর ছেলে শীর্ষেন্দুর (৪৫) মৃতদেহ। এ সংবাদ প্রকাশ করছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি দিন বিকেলে ছেলে শীর্ষেন্দুকে নিয়ে বেড়াতে বেরোন। ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং মৃগী রোগী। এ দিনও তিনি বেরোনোর সময়ে ছেলেকে মাস্ক পরতে বলেন। কিন্তু ছেলে কিছুতেই তা পরতে রাজি হননি। বার বার বলেও রাজি না হওয়ায় তিনি ছেলের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে খুন করেছেন বলে দাবি করেন বৃদ্ধ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ঘরের মাটিতে পড়ে রয়েছে শীর্ষেন্দুর দেহ আর বিছানায় শুয়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধা। তিনি শীর্ষেন্দুর মা। সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দের যুগ ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী তিনি। মায়ের সামনেই ছেলেকে বংশীধরবাবু খুন করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মৃত শীর্ষেন্দুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।