ছিনতাইকারীর চাপাতির কোপে জাবি শিক্ষার্থী আহত,মহাসড়ক অবরোধ।

0
19

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ডেইরি গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় জাবির দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত জাবালি তার বান্ধবীসহ সাভার থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে ক্যাম্পাসে আসছিলেন। সাভারের সি অ্যান্ড বি এলাকায় পৌঁছলে মুখোশধারী তিনজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রসহ রিকশার গতিরোধ করে। এ সময় রিকশায় থাকা শিক্ষার্থী জাবালিকে লক্ষ্য করে চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে তার ডান হাতের পাঁচটি আঙুল কেটে যায়। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে মূহুর্ত্তের মধ্যে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় জাবালিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ খবর জাবি ক‍্যাম্পাসে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ ও সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় পুলিশের কাছে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- সিএন্ডবি থেকে বিশমাইল এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন, ছিনতাইকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কে পর্যাপ্ত লাইট ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রিকশাওয়ালাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।পরে আশুলিয়া ও সাভার হাইওয়ে থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। পরে রাত ১০টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

এ ব‍্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, আজ থেকে বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ২টি চেকপোস্ট থাকবে। একটা হবে সিএন্ডবি থেকে মীর মশাররফ হোসেন হলের মাঝখানে, আরেকটা মীর মশাররফ হোসেন হল গেট থেকে প্রান্তিক গেটের মাঝখানে। এই ঘটনায় জরিতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আটক করার ব্যবস্থা করা হবে।

এসময় সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক বলেন, সাভার হাইওয়ে থানা থেকে নিয়মিতভাবে টহল চলে। এরপরও ছিনতাইয়ের এমন পুনরাবৃত্তি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আজ থেকে আমরা টহল আরো জোরদার করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, দুই থানা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসে দোষীদের আটক করার আশ্বাস দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। প্রশাসন তাদের সঙ্গে বসে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবে। আগামীকাল তারা ওয়াচ টাওয়ার ও টহল পুলিশের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবে বলে জানিয়েছে।