চুরি করতে গিয়ে হাত পা বেঁধে বিধবা নারীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

0
115

 

মোঃ সিরাজুল ইসলাম ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি’ ধামরাইয়ে চুরির উদ্দ্যেশে সিঁদ কেটে এক বিধবা নারীর ঘরে ডুকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছে মোঃ সাইজুউদ্দিন (৫০) নামে এক মধ্যে বয়সী যুবক। পরে সাথে থাকা আরও তিনজন সহোযোগী ঘর থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালস্কার লুট করে নিয়ে যায় । এই ঘটনায় এলাকাবাসি ধর্ষণকারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ধর্ষীতা
চিকিৎসা শেষে বাদী হয়ে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায় সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুর্নিগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত মোঃ সাইজুউদ্দিন উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুর্নিগ্রামের মৃত পাচু খাঁর ছেলে। ধর্ষীতা একই গ্রামের মৃত আরফান আলীর স্ত্রী। সে বাড়ীতে একা বসবাস করতো।
ভুক্তভোগির পরিবার সুত্রে জানাযায়, ধর্ষীতার স্বামী আরফান আলী তিনটি কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। মেয়েদের বিয়ে দিলে তারা স্বামীর বাড়ীতে থাকে। সেই সুবাধে ধর্ষীতা তার বাড়ীতে একাই থাকে এবং রাজমিস্ত্রি হেলপারের কাজ করে। সোমবার ভোর রাতে চুরির উদ্দ্যেশে সাইজুদ্দিনসহ চারজন সিঁদ কেটে ঘরে ডুকে এক লাখ টাকা ও ১ভরি ওজনের স্বর্ণালস্কার লুট করে নিয়ে বিধবা মহিলাকে ধর্ষণ করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরের মেজেতে ফেলে চলে যায়। পরে সকাল হলে পাশের বাড়ীর মনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা ধর্ষীতার ঘরে সিঁদ কাটা দেখে চিৎকার দেয়। তার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন দৌড়িয়ে আসে এবং ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে সিঁদ দিয়ে ঘরে ডুকে দেখে ধর্ষীতার হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মেজেতে পরে আছে। সাথে সাথে তারা মেম্বার নাছিরকে ঘটনা জানালে মেম্বার গিয়ে ধর্ষীতাকে দ্রুত উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে ধর্ষীতার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে ধর্ষীতার জ্ঞান ফিরলে তিনি একই গ্রামের সাইজুদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান। এছাড়া অন্য কাউকে তিনি চিনতে পারেনি। ধর্ষীতার মুখে সাইজুদ্দিনের নাম শুনে এলাকাবাসি সাথে সাথে সাইজুদ্দিনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ধামরাই থানার পুলিশ গিয়ে সাইজুদ্দিনকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করলে ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং তার সাথে আরও তিন জন আছে বলে জানান।

এই বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, গতকাল সোমবার সকালে লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি বিধবা মহিলাকে তার ঘরের ভিতরে হাত-পা ও মুখ বেধেঁ ঘরে ফেলে গেছে। আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে বিধবা মহিলাকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার তাকে আবার সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে নিয়ে চিকিৎসা শেষে মহিলা সুস্থ্য হয়ে তিনি সাইজুদ্দিনের নাম বলে। এর পর গ্রামের লোকজন সাইজুদ্দিনকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন মহিলার ঘর থেকে জমি রাখার নগদ ১লাখ টাকা ও ১ভরি ওজনের স্বর্ণালস্কার একটি চেইন ও কানের মার্কি লুট করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, এলাকার লোকজন ধর্ষণকারী সাইজুদ্দিনকে আটক করে থানায় খবর দিলে আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামী সাইজুদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। ঘটনা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সাইজুদ্দিন তা স্বীকার করেন। আজ সকালে আসামী সাইজুদ্দিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ধর্ষীতাকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।