এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চুরির অভিযোগে বিপুল মিয়া(৩৪) নামের এক যুবদল নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাইমাল উদ্ধার করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার বাউশমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি বিপুল মিয়া চোরচক্রের একজন স্বক্রিয় সদস্য। চুরি ছাড়াও তার নামে মাদক ও জুয়া আইনে আরও দুটি মামলা রয়েছে।
বিপুল মিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের নটানপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
পুলিশ, অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের মৃত পাশু মন্ডলের ছেলে বেলাল হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় একটি চোরচক্র। পরে শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে বাড়ির মালিকের। টের পেয়ে চোরচক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে যুবদল নেতা বিপুল মিয়াকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ বিপুল মিয়াকে আটক করে থানায় নেয়। পরে তাঁকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশের একটি দল। অভিযান চালিয়ে বিপুলের প্রধান সহযোগি মধ্যইছাকুড়ি গ্রামের মৃত শহিদার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেনের বাড়ি থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, নগদ ১৪০৫০ টাকা, ব্রোঞ্চের তৈরী অনন্তবালা রুলি যার উপড়ের অংশে স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া আছে, একটি ব্রোঞ্চের চুড়ি যার উপড়ে স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া আছে ,সিটি গোল্ডের জোড়া চুড়ি, একটি সিটি গোল্ডের নাকের দুল ও একটি স্বর্ণের নাকফুল উদ্ধার করা হয়। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি শাবল (দেশীয় অস্ত্র) জব্দ করে পুলিশ।
গত দু’বছরে উপজেলায় মাদকের সাথে চুরির ঘটনাও বেড়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
রৌমারী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এঘটনা লজ্জার। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন, আটক বিপুল মিয়া স্থানীয় চোরচক্রের একজন স্বক্রিয় সদস্য। চুরি ছাড়াও তাঁর নামে মাদক ও জুয়া আইনে আরও দুটি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সহযোগি ও পৃষ্ঠপোষকদের তথ্য বের করতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি।