পাবনা সদর প্রতিবেদক।
পাবনা সদর থানার দোগাছি ইউনিয়নের মাদারবাড়ী গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে এক গৃহ বধূর মাথার কেটে,শরিরে সিগারেটের স্যাকা দেয়া এবং স্বামীকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।আহত এই দম্পতির পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।নির্যাতিত দম্পতির মেয়ের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিক দের জানান,শনিবার ভোর রাতে আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে একই এলাকার শাজাহান,খাইরুল,তৈইজুদ্দিন,বিপ্লব ও ফরিদ সহ আরো প্রায় ৫/৭জন কালো কাপড় মুখে বেধে অস্ত্রসহ আমাদের বাড়িতে এসে ঘড় থেকে আমার বাবা ও মাকে তুলে নিয়ে যায়।পরে বাড়ির পাশে একটি নারিকেল গাছের সাথে আমার বাবাকে বেধে রেখে আমার মায়ের মাথার চুলগুলো কাচি দিয়ে কাটে এবং আমার মাকে অনেক মারধর করেন,পরে সিগারেটের আগুন দিয়ে আমার মায়ের শরীরে স্যাকা দেয়।পরে আমার বাবাকে মারধর করেন।হামলাকারিরা চলে যাওয়ার সময় আমাদের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং মামলা তুলে না নিলে প্রাননাশের হুমকি দেন। চিকিৎসাধীন ঐ গৃহবধু (৩৫) এর কাছে হামলাকারিদের সাথে তাদের বিরোধের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বাংলার রুপের সাংবাদিক আল আমিন কে বলেন হামলাকারি সাজাহান,ও তার সহযোগিরা আমাদের ২৩ শতক জমির কাগজপত্র জাল করে দখলে নেয়ার চেষ্টা কর এতে আমারা বাধা দিলে আগেও আমাদের মারধর করে। এই জন্য আমরা এদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক তিনটি মামলা করি।এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য ও জমিটি ছেড়ে দেয়ার জন্য তারা বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল।আমরা মামলাটি তুলে না নেয়ার জন্য আজকে আমাদের এই অবস্থা।এ ঘটনার ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ নাসির আহমেদ বলেন আমি ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি,এবং আমার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।হামলাকারিদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।অসি বলেন আমরা আসামীদের গ্রেপ্তার এর চেষ্টা করছি।
মোঃ আল আমিন। বাংলার রুপ।