নিজেস্ব প্রতিবেদক,বাংলার রুপ।।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ দীর্ঘায়িত হবে না। ইতিমধ্যে টানেলের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে এই টানেল পুরোপুরি আলোর মুখ দেখবে বলে তিনি আশা করছেন।
রোববার (০৮ই মার্চ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করে গনমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ১০ হাজার ৫০০ সেগমেন্টের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সেগমেন্ট টানেলে স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেল নির্মাণে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনএবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
ওবা্ইদুল কাদের আরো জানান, করনা ভাইরাসের কারণে কর্ণফুলী টানেলে কর্মরত চীনা নাগরিকেরা এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা সময় ক্ষেপণের কারণ সৃষ্টি করেনি। তিনি বলেন, হয়তো করোনা ভাইরাসের ব্যাপারটি দীর্ঘায়িত হলে তখন ব্যাপারটা অন্যদিকে কিছুটা মোড় নিতে পারে। তবে এখানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে দলীয়ভাবে কী ভাবছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকাতেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। প্রথমে যতটা ছিল শেষ পর্যন্ত ততটা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। ১৭২ জনের মধ্যে কমতে কমতে মাত্র ১৫ জন ছিল, যারা জয় লাভ করেছে। চট্টগ্রামেও আমি উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। যেটুকু সমস্যা আছে আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সমস্যা চট্টগ্রামেই যারা দায়িত্বরত আছেন তাঁরাই সমাধান করবে। কেন্দ্র থেকে কোনো পরামর্শ প্রয়োজন হলে দেওয়া হবে।