বিষেশ প্রতিনিধিঃ
সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তবে স্বেচ্ছাসেবকদের দাবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর দ্বারা হুমকির শিকার ও এক নারী স্বেচ্ছাসেবক ও দুই পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক আহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ এপ্রিল ) দুপুরে সাভারের হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসোফি বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা ইমন (২৫),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মাজেদুল ইসলাম (২৪)।এছারাও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা জেলার দলনেতা লিজা আক্তার (২৩), এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক আকিব (২০), ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক অর্পণ(২০)।
ঘটনার তিন ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা এসে আহত ইমন ও মাজেদুল কে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।টিকা কেন্দ্রের আহত স্বেচ্ছাসেবকরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত ইমন অভিযোগ করে বলেন, আমরা দুইজন জাহাঙ্গীরনগর থেকে সাভারের হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আসি। স্বাস্থ্যকর্মীরা সব টিকা নিয়ে যার যার মত চলে যাচ্ছিল । আমরা টিকা দিতে এসেছি জানালে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরেরদিন আসতে বলেন। আমরা শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে দূর থেকে এসেছি বললেও তারা কোন মতেই ভ্যাকসিন দিতে রাজি হয়নি। উল্টো আমাদের উপর স্বেচ্ছাসেবকরা ক্ষিপ্ত হয় । তাদের সাথে আমাদের তর্কাতর্কি হয় । এক পর্যায়ে কয়েকজন এসে আমি এবং আমার সঙ্গে থাকা মাজেদুল এর উপর হামলা চালায়।
ইমন আরো বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জানতে চাইলে তারা বলেন ১ টা ৩০ মিনিটে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ । কিন্তু আমরা ১ টা ২০ মিনিটে টিকাকেন্দ্রে আসি। তবুও তারা আমাদের টিকা দেয়নি। উল্টো মারতে মারতে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযোগের বিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা জেলার দলনেতা স্বেচ্ছাসেবক লিজা আক্তার বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি রমজান মাস উপলক্ষে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন । সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলে। আমরা যখন সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি তখন তারা দুইজন ভ্যাকসিন নিতে আসে । আমাদের পক্ষ থেকে তাদের পরের দিন আসতে বললে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় । জোর করে টিকা নিতে চাইলে এক দুই কথায় হাতাহাতি শুরু হয়। এতে আমি সহ আরো দুইজন আহত হই। পরে তারা পুলিশে ফোন করলে আমরা তাদেরকে সহ থানায় আসি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার মডেল থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, টিকা নিতে এসে দুই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সায়েমুল হুদার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সরাসরি তার চেম্বারে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি । অন্য এক মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন ।