বাংলার রূপ ,নিউজ ডেস্ক।।
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে চলেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৫২ হাজার নয়শ ৯৫ জন। তার মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে তিন হাজার ছয়শ ৭০ জনের।
দেশটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি সে দেশের হাসপাতালগুলোর লাশঘরে নতুন করে আর কারো মরদেহ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে উঠেছে ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি।
রিও ডে জেনেইরো এবং অন্য চারটি বড় শহরের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ব্রাজিলের কোনো হাসপাতাল বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলানোর মতো পরিস্থিতিতে নেই।
দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেরিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জেরে এটি আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আরো আগে এটি করা সম্ভব হলে আক্রান্ত ও মৃতের হার কমিয়ে নিয়ে আসা যেত।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখতেও অনেকটা বিলম্ব হচ্ছে। এর জেরে ব্রাজিল হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাসের হটস্পট।
অ্যামাজনের বড় শহর ম্যানাউসের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বহু মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণে সেখানে গণকবর দিতে হয়েছে।
ওই শহরে লাশ সৎকার সংস্থার গাড়িচালক ২০ বছর বয়সী ইতালো রদ্রিগেজ বলেন, আগে একজনের মরদেহ বহনের পর অন্তত ৩৬ ঘণ্টা সময় পেতাম। কিন্তু বর্তমানে একজনের মরদেহ গাড়িতে করে সৎকারস্থলে পৌঁছে দেওয়ার আগেই অন্য জায়গা থেকে ফোন আসছে।
একের পর এক মানুষের লাশ নিয়ে আসতে আসতে আমি এক ধরনের মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি। আমাকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আরেকজন চালককে নিয়োগ দিয়েছে। এই গাড়িতে অন্য সময়ে যেন লাশ নিয়ে আসা অব্যাহত থাকে, সেজন্য নতুন করে বাড়তি চালক নিয়োগ করা হয়েছে।