মোঃসোহান আহমেদ (সানাউল)
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সায়মুল হুদার সাথে সাভার পল্লী চিকিৎসকদের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই সভায় নামের আগে কোন পল্লী চিকিৎসকগন ডাক্তার পদবী ব্যবহার করবেন না বলে কথা দিয়েছেন পল্লী চিকিৎসকের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় তিনি বলেন, ডাক্তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পদবী । যে কেউ যেকোন পর্যায়ের ডিগ্রী নিয়ে নামের আগে এই শব্দ বসাতে পারে না কিংবা নিজেকে ডা.বলে পরিচয় দিতে পারে না । কিন্তু আমাদের দেশে এর যত্রতত্র ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।
নামের আগে ডাক্তার লিখতে হলে যে আইন কানুন গুলো মানতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১০(২০, ডিসেম্বর ২০১০-এ প্রকাশিত গেজেট) এর ধারা ২২(১) ও ২৯(১) এর আওতায় MBBS/BDS বাদে অন্য ডিপ্লোমা বা যে কোন কোর্স করে চিকিৎসকদের নামের আগে ডাঃ(ডাক্তার) পদবী ও নামের পরে ডিগ্রী ব্যবহার আইনত দন্ডনিয় অপরাধ ।
(১) এই পদবী ব্যবহার করতে হলে ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী হতে হবে। অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী লিখতে পারবেন না। তাও আবার তাকে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটানো শাস্তি যোগ্য অপরাধ
(২) বিএমডিসির সংশোধিত আইন অনুযায়ী পল্লী চিকিৎসক ও মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্টরা তাদের নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন না। এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রিধারী না হলে কেউ নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না। এই বিধান অমান্য করে কেউ নিজের নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএমডিসি।
(৩) বিএমডিসির আইনের ২২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন ব্যতীত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা নিষিদ্ধ। অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেনো এ আইনের অধীনে নিবন্ধন ব্যতীত কেউ নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রদান করতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি এ ধারা লংঘন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
(৪)এছারা ২৯ (১) ধারা অনুযায়ী ভুয়া পদবী ব্যবহার নিষিদ্ধ। এ আইনের অধীনে নিবন্ধনকৃত কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবী, বিবরণ ও প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে মর্মে কেউ মনে করতে পারে। এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ব্যক্তিরা ব্যতিত অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি এ উপধারা লংঘন করলে তাকে ওই একই দণ্ড পেতে হবে এবং অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রত্যেকবার তার পুনরাবৃত্তির জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন ।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমি বিশ্বাস করি সাভার উপজেলায় সকল পল্লী চিকিৎসকগন বিধিমেনেই যার যতটুক কার্যপরিধি ততটুকু সেবা দিয়ে প্রয়োজনে রেফার করবেন।সীমালংঘন করবেন না, আপনাদের উপর আমার আস্থা আছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবেন।
এসময় করোনা কালিন পরিস্থিতিতে পল্লী চিকিৎসকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ডাক্তার সায়মুল হুদা ।