এক যুগ আগে র‍্যাবের অধিনায়ককে ছুরিকাঘাতের দায়ে:৩ জনের কারাদণ্ড।

দৈনিক বাংলার রূপ

0
7

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

টাঙ্গাইলে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-১২ (র‌্যাব)-এর তিন নম্বর কম্পানির অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হককে ছুরিকাঘাতের মামলায় তিন আসামীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান। সোমবার (১২ জুন) বিকেলে এই আদেশ দেন।এসময় দুজনের পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- গোপালপুর উপজেলার সেনের মাকুল্যা গ্রামের ফজল হকের ছেলে বাবুল শেখ ও আমজাদ খাঁ’র ছেলে কালাম তাদেরকে পাঁচ বছর করে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত হচ্ছেন একই গ্রামের নুরু মন্ডলের ছেলে সবুজ তাকে তিন বছরের দন্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালতে অর্থদণ্ড হিসেবে বাবুল ও কালামকে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো সাত মাসের কারাদণ্ড এবং সবুজকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার আসামি নুরু মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি এস আকবর খান জানান, ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর (র‌্যাব -১২)-এর তিন নম্বর কম্পানির অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক আভিযানিক দল নিয়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য গোপালপুর উপজেলার সেনের মাকুল্যা গ্রামে যান। তারা অস্ত্রের ক্রেতার ছদ্মবেশে বাবুল শেখ ও মামুনের কাছে অস্ত্র কেনার দরদাম করেন।

দণ্ডিত বাবুল শেখ র‌্যাব সদস্যদের অস্ত্র দেখাতে গেলে র‌্যাব সদস্যরা আসামি বাবুলের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দেন। মেজর মাহফুজুল হক মামুন নামক অপর আসামিকে ধরে ফেলেন। এদের চিৎকারে আশেপাশ থেকে অন্য আসামিরা চলে আসে।
আসামি সবুজ মেজর মাহফুজুল হককে ছুরিকাঘাত করে। এসময় বাবুল ও মামুন পালিয়ে যায়।
পরে মেজর মাহফুজুল হককে উদ্ধার করে ঘাটাইল সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনার ব্যাপারে র‌্যাব সদস্য বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিনই গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে আসামি মামুন র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।পরে তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।