মোঃ অপু মিয়া
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
একটি দেশের কোনো থানায় বা জেলায় চারিদিকে যখন অপরাধ দিনদিন বাড়তেই থাকে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয়। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই রাহাজানি, চাঁদাবাজি প্রকাশ্য দিবালোকে শুরু হয়। কোন মতেই প্রশাসন যখন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ঠিক তখনই ওই থানায় বা জেলায় দুর্দান্ত সাহসী ও সৎ পুলিশ অফিসার পাঠানো হয়।
আর ওই পুলিশ অফিসার তার সৎ সাহসকে পুঁজি করে জনগণের শান্তির জন্য দিনরাত এক করে সকল অন্যায়কেন বিতাড়িত করে সন্ত্রাস দমনে সফল হয়। বলছিলাম চলচ্চিত্রের কাহিনীর কথা যেমনটা আমরা প্রায়ই সিনেমায় দেখে থাকি পুলিশের ভূমিকায় নায়কের অভিনয়। একজন সৎ ও সাহসী পুলিশ হিসেবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে শত বাধা অতিক্রম করে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এমনটা শুধুমাত্র সিনেমাতেই দেখে থাকি। বাস্তবে পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। পুলিশের নাম শুনতেই জণসাধারণের মনে ভালো-মন্দের এক বিরাট দেওয়াল তৈরী হয়। অনেকেই নাক ছিটকানো শুরু করে। সারাজীবন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি দেখে আমাদের অনেকের জ্ঞান হয়তো প্রচন্ড- ঝাঁকুনি খায়। কিন্তু পুলিশবাহিনীতেও রয়েছে কিছু অফিসার যারা নিজেদের জীবন সাধারণ মানুষের সেবাই উৎসর্গ করে দিয়েছে। তারা রীতিমত জনসেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। আইনের সহযোগিতা সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌছিয়ে দিতে যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে।
যারা পুলিশে যোগদান করেছেন শুধু মাত্র সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য। লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে ন্যায়ের পথে জীবন বাজি রাখা এমনই একজন পুলিশ অফিসারের নাম এসআই সিদ্দিকুর রহমান ।
সে বরিশাল সদর জেলার বাখেরগঞ্জ.থানার চড়ামদ্দি গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
এসআই সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে তিনি বরগুনা জেলার বামনা থানায় কর্মরত আছেন। তিনি বামনা থানায় যোগদান করার পর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বামনা উপজেলার প্রতিটি মানুষের কাছে এসআই সিদ্দিকুর রহমান একটি ন্যায়পরায়ন আদর্শবান পুলিশের নাম। এই পুলিশ কর্মকর্তা শুধুমাত্র মানুষের সেবা করতে পারলেই মহাখুশি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করাই তার স্বপ্ন।
তিনিই এই করোনাকালিন মহামারী সময় প্রতিনিয়ত ২৪ ঘন্টা মানুষের পাশে ছিলেন এবং মানুষের কাছে গিয়ে সতর্ক বার্তা ও সচেতনতা মূলক কাজ করেছেন। বামনা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ।
এবং বামনা উপজেলার মাদক নির্মূল এর জন্য
ওসি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এসআই সিদ্দিকুর রহমান সম্পর্কে , চালক মেহেদী , শিক্ষক হাসান , ডৌয়াতলা জসিম, ডৌয়াতলা , সাদেকুর রহমান সাদিক,ডৌয়াতলা
নিবাসী আশরাফ আলী গুদিঘাটা গ্রামের রাব্বী হাসা, উত্তর কাকচিড়া গ্রামের হুমায়ুন, মাহিম হাসান, দক্ষিণ রমনা শাহিন, রমনা লঞ্চঘাটের চা দোকানী নুরজামাল, শহিদুল ইসলাম, ফার্মেসির, মাইনুল,
খোলপটুয়া নির্মল,
রামনা বৈকালীন বাজারে মামুন হাওলাদার, গাজী আলআমিন, আব্দুল মান্নান, সোনাখালি গ্রামেরবীরগ্রামের আইয়ুব আলী, কনস্টেবল মতিউর, গোলাঘাটা নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা আফজাল হোসেন , সাংবাদিক অপু সিদ্দিকুর ,নাসির মোল্লা, সাবু, মেহেদী হাসান, রুদ্র রোহান, তরিকুল ইসলাম রতন, মিরাজ, গোলাম কিবরিয়া স্বপন, বিল্লাল হোসেন সহ এরা সবাই জানান এসআই সিদ্দিকুর রহমান একজন সৎ পুলিশ অফিসার তার ব্যবহার আচরণ খুবই ভালো একজন সাহসী এবং ভালো মনের মানুষ। রামনা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গোপখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, নতুন অফিসার
এসআই সিদ্দিকুর রহমান । স্যার খুব ভালো মানুষ। তার মতো অফিসার পেয়ে বামনা উপজেলাবাসী ধন্য।
সিদ্দিকুর রহমানের সম্পর্কে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, প্রকৃতপক্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তাই পারে জনগণের প্রকৃত বন্ধু হতে আর সেই প্রতিভাটি সিদ্দিকুর রহমান এর মধ্যে আছে। সে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কখনো অনীহা প্রকাশ করেনি। তার মতো আরো সাহসী পুলিশ অফিসার যেন আমাদের থানায় যোগদান করে। ইনচার্জ বশির আলম আরও বলেন, মানুষ পুলিশকে গালমন্দ করে সামান্য বিপদে পড়লেই কিন্তু এই পুলিশের শরাণাপন্ন হতে হয়। পুলিশ নিজে সারা রাত জেগে অন্যের ঘুমের সু-ব্যবস্থা করে। খুব সম্ভবত এটিই পৃথিবীর একমাত্র প্রফেশন যেটিতে ২৪ ঘন্টা দায়িত্বে ব্যস্ত থাকতে হয়। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কাজেই রাষ্ট্রযন্ত্রকেও এই বাহিনীর যথাযোগ্য মর্যাদার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা সততা ও ন্যায়ের সাথে নিজেদের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে আমরাও চাই দেশের প্রতিটি পুলিশ সৎ, সাহসী ও ন্যায়নিষ্ঠাবান হোক। মানুষের সেবাই হোক পুলিশের প্রথম ও প্রধান এবং একমাত্র আদর্শ।