খোকন হাওলাদার,
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বর্তমান প্রার্থী ৪ সন্তানের জনক শাজাহান বেপারী ওরফে পান শাজাহান(৫০) এবং মহিলা সংরক্ষিত আসন ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ২ সন্তানের জননী লাকী বেগম(৪০) পরকীয়া করে পালিয়ে বেড়ানো অবস্থায় বরিশাল বিমান বন্দর থানায় গ্রেফতার হন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ইউপি সদস্য শাজাহান বেপারী শোলক ইউনিয়নের দামুদারকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের বেপারীর পুত্র। ইউপি সদস্য একই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা গণি সরদারের বড় কন্যা পারুল বেগম (৪৫)কে বিবাহ করে ২৫ বছর সংসার জীবনে তাদের সংসারে ২ পুত্র ও ২ কন্যা জন্মগ্রহন করে। অপরদিকে লাকী বেগম আগৈলঝাড়া উপজেলার বেলুহার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ভূইয়ার কন্যা ও শোলক ইউনিয়নের আটক গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। তাদের সংসারে ১ পুত্র ও ১কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে লাকী বেগম ও শাজাহানের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ নিয়ে শাজাহানের পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। একটি সন্তানও মারা যায় এই পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানির কারণে। গত ১ জুন মঙ্গলবার বরিশাল বিমান বন্দর এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। ওই থানায় লাকী স্বামীকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে গত ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখের তালাকনামা ও শাজাহানের সাথে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে একটি বিবাহের হলফনামা দেখিয়ে ওখান থেকে ছাড়া পান।
এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ও শাজাহানের শ্বশুর গণি সরদার জানিয়েছেন, পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে শাজাহানের বড় পুত্র আবু তাহের(২০) এগার মাস আগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে লাশ দাফন করে। কিন্তু শাজাহান পুত্রকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে। গণি সরদার আরো জানান, আমার কন্যাকেও খুন করার চেষ্টা করেছে। আমি কন্যাকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।