হালুয়াঘাট প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক গৃহবধু কে ধর্ষণ করল ইমাম পরিবহনের এক বাস চালক। ধর্ষণকারি বাস চালকের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩১)।অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে। তিনি হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের চালক।এই ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকায় তার স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ওই গৃহবধূ (২২) গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাড়ি থেকে বৃদ্ধ নানার সঙ্গে রওয়ানা হন।ঈশ্বরগঞ্জ থেকে শম্ভুগঞ্জ এসে ভূলক্রমে ঢাকার বাসে না তুলে দিয়ে শেরপুরের রুটের একটি বাসে তাকে তুলে দেন।পরে গৃহবধূর স্বামী ফোন করে জানতে চান, এখন তিনি কোথায় আছেন। কিন্তু তিনি না বলতে পারায় বাসচালকের সহকারীকে মোবাইল ফোন দিতে বলেন। সহকারীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ভুল করে হালুয়াঘাটের বাসে উঠেছেন। পরে বাসের চালক গৃহবধূকে হালুয়াঘাট বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঢাকাগামী অন্য বাসে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বেলা ৩টায় বাসচালকের সহকারী ওই নারীকে বাসস্ট্যান্ডে এক দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে অন্য বাসে উঠিয়ে দিতে সামনে যান। এ সময় অন্য এক বয়স্ক নারী জানতে চান তিনি কোথায় যাবেন?সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিযুক্ত ইমাম পরিবহনের বাসের চালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ঘটনাটি শুনে ওই নারীর পিছু নেন। যে বাসে করে ওই গৃহবধূ হালুয়াঘাটে গিয়েছিলেন সেই বাসের চালক তাকে ঢাকাগামী একটি বাসে উঠিয়ে দেন। সুযোগ বুঝে সেই বাসে উঠে পড়েন জাহাঙ্গীর। ওই নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুলভাল বুজিয়ে তারাতারি ঢাকা যাওয়ার কথা বলে ধারা বাজার মুরগিমহল এলাকায় নামিয়ে রাখেন জাহাঙ্গীর। তারপর জাহাঙ্গীর ওই নারীকে নিয়ে মুরগিমহলের পাশে নির্জন স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখা ইমাম বাসে উঠে বসতে বলেন। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে ওই বাসের চালক জাহাঙ্গীর বাসে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব প্রেস ব্রিফিং করে জানান, মামলার পর ওই নারীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন ওই নারী। দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সে সাথে ইমাম পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে।