ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপোর্ট।
ইরানের একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান ও নয় ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ করা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া কিংবা তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ইরানি সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে ও চীনভিত্তিক বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া দেশটির সেনাপ্রধান ও বিচার বিভাগের প্রধানকে নতুন করে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও রয়েছেন ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক পদস্থ কমান্ডার ও আইআরজিসির সদরদপ্তরের প্রধানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া, আয়াতুল্লাহ খামেনির চিফ অব স্টাফসহ তাঁর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ।
এ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কোন ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে কোন সম্পদ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান এসব ব্যক্তির সঙ্গে কোনো লেনদেন করতে পারবে না বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় । তবে ইরান দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যক্তিদের কোনো সম্পদ নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ব্যক্তিদেরকে ‘ব্যাপক ক্ষতিকর আচরণের’ দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিনের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানে সাবেক মার্কিন দূতাবাস দখলের ৪০তম বার্ষিকীর দিন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর ইরানি শিক্ষার্থীরা মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৪৪৪দিন পর্যন্ত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্দি করে রাখে। সে কারণে ১৯৮০ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে।