আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত‍্যার অভিযোগ।

0
75

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আশুলিয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে হাসপাতালে লাশ রেখে ঘাতক স্বামী পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘাতক স্বামীর নাম আব্দুল হালিম দেওয়ান নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এদিকে বোন হত্যার বিচার চেয়ে নিহত গৃহবধুর দুই ভাই ঘুরে বেরাচ্ছেন দ্বারে দ্বারে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার জিগাতলা গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে রোকসানা (৩৩) বাবা-মা ও ভাই-বোনের সাথে রাজধানীর শ্যামলীতে বসবাস করতো। সেখান থেকে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার আলমাস দেওয়ানের ছেলে হালিম দেওয়ানের সাথে পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রায় ৫ মাস আগে বিয়ে হয় রোকসানার। বিয়ের পর হালিম দেওয়ানের শ্রীপুরের বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) রাতে রোকসানা তার মা রেজিয়া বেগমকে মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে, তিনি শ্যামলী মায়ের কাছে বেড়াতে আসবেন। এ সময় রেজিয়া বেগম মোবাইলে হালিমের অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুনতে পান। হালিম উত্তেজিত থাকায় রোকসানা কল কেটে দেন। ঐ রাতেই রোকসানার মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সকলে খবর পান যে, রোকসানা আত্মহত্যা করেছেন। খবর শুনে রোকসানার মা রেজিয়া বেগম, ভাই মোঃ রোমান (৩০), নিজাম উদ্দিন (২৩) ও অন্যান্যরা শ্রীপুরের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশেষায়িত হাসপাতালে আসেন মেয়েকে দেখতে। এসে দেখেন হাসপাতালের বিছানায় লাশ হয়ে পড়ে আছেন রোকসানা।
নিহতের ভাই মোঃ রোমান ও নিজাম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন ,পরিকল্পিতভাবে তার বোনকে হত্যা করে সেই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেষ্টা করেছে হালিম। রোকসানার লাশ হাসপাতালে ফেলে হালিম পালিয়ে গেছে। আজ অবধি হালিমের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রোকসানার গলায়, মুখে, শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল।
তারা আরও জানান, হালিম দেওয়ান ইতিপূর্বে কয়েকটি বিয়ে করেছেন। এর আগেও সে পূর্ববর্তী স্ত্রীদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীপুরের সচেতন মহলের কয়েকজন জানান, হালিম দেওয়ান একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বারবার সে বিয়ে করে এবং স্ত্রীদের হত্যা করে তা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। এই হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
আশুলিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারী রাতে রোকসানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। হালিম পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। হালিমকে আটক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সাক্ষাতকার নিতে শ্রীপুরে গিয়ে হালিম দেওয়ানকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করেও তা বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।