আশুলিয়ায় মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

0
9
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ায় ইফতার করানোর কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, এদের মধ্যে দুইজন নারী সদস্য রয়েছেন। রবিবার (০৯ এপ্রিল) সকালে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে,  ৮ এপ্রিল (শনিবার) দুপুরে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গোছারটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম শফিক মিয়া (৫০)। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি ন্যাচারাল গার্মেন্টস রোড এলাকার ইতিহাস জুয়েলার্সের মালিক।
এই অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুর সদরের আমিরাবাদ এলাকার তোতা মিয়ার মেয়ে মিতু আক্তার (৩০), দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সাদা মিয়ার মেয়ে বন্যা (২৪), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানির দুলু ফকিরের ছেলে জসিম ফকির (৩৫), শাহাদাতের ছেলে চয়ন (২৪) ও মোস্তফার ছেলে তৌফিক আবির (২০)।
ব্যবসায়ী শফিক মিয়া বলেন, মিতু আক্তারের সঙ্গে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। মিতুর কাছে শফিক মিয়া ৪ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সেই পাওনা পরিশোধ না করেই আরেকটি নুপুর বানিয়ে দিতে বলে মিতু। আগের বাকি টাকা এবং নুপুরের টাকা একসঙ্গে দেবে বলে শফিক মিয়াকে গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আশুলিয়ার বাইপাইল স্ট্যান্ডে ডেকে নেয় মিতু। পরে নুপুর নিয়ে বাইপাইল পৌঁছালে ইফতারের দাওয়াত দেয় ও বাসায় গিয়ে টাকা পরিশোধ করার কৌশলে শফিক মিয়াকে পলাশবাড়ির বাসায় নিয়ে যায় মিতু। সেখানে আগে থেকেই অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিল। বাসায় নিয়ে মারধর করে ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা লুট করে নেয়। মারধর করে বাম হাত ভেঙে দেয়। এসময় ভুক্তভোগীর কাছে আরো মুক্তিপণ বাবদ দুই লাখ টাকা দাবি করে আসামিরা। পরে বিকাশে ২৫ হাজার টাকা এনে দিলে মুক্তি মিলে সেই ভুক্তভোগীর। পরে চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পুলিশ সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শফিক মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।