নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ঝুটের গোডাউনসহ বসতবাড়ির ৫৩টি কক্ষ আগুনে পুড়ে ছাই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুটের গোডাউন মালিক ফরিদ মিয়ার অভিযোগ ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৩ টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া ভূঁইয়া বাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়ার ঝুটের গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত আনুমানিক ৩ টার সময় হঠাৎ করেই ফরিদ মিয়ার ঝুটের গোডাউনে আগুন ধাও ধাও করে জ্বলতে থাকে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়াই আশেপাশে থাকা বসবাসরত বাসাবাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে নিজস্ব ব্যবস্থায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিস জানান, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ঝুটের গোডাউনসহ বাসাবাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ৩ টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৩টি ইউনিট ও পল্লী বিদুৎ মডার্ণ ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। প্রায় ১ ঘন্টার
চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই আমরা। এসময় ১টি ঝুটের গোডাউন, ৩টি আধাপাকা বাড়ির মোট ৫৩টি কক্ষ পুড়ে যায়।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ঝুটের গোডাউনের মালিক ফরিদ মিয়া বলেন, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে খবর পাই আমার ঝুটের গোডাউনে আগুন লাগছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আসলে এই মুহূর্তে ইয়ারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচন চলছে। আমার ঝুটের গোডাউনের আশেপাশে ভূু্ইয়া পরিবারের বসবাস। আর এই নির্বাচন কে কেন্দ্র করেই তাদের নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। আর এই দ্বন্দ্ব থেকেই আগুন লাগার কারণ টা এমনও হতে পারে কেউ নির্বাচন কে কেন্দ্র আমার ঝুটের গোডাউনে আগুন দিতে পারে বা কেউ নাশকতা করেও দিতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছে।
এবিষয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ও্যায়ার হাউজ অফিসার দিয়ানাতুল ইসলাম দিনার বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের গোলাকার থেকে আগুনের সূত্রপাতের ঘটনা ঘটে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুই স্টেশনের মোট ৫টি ইউনিটের প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি৷ তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৫ লক্ষ টাকার মত ধারনা করা হচ্ছে।