
মোঃ সোহান আহমেদ সানাউল।
আশুলিয়া, সাভার ,ঢাকা ।।
ঢাকা সাভার আশুলিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সদরপুর নাভানা হাওজিং সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাভার জোনাল বিপনন অফিসের কতৃপক্ষ ।
আজ মঙ্গলবার ৩১ (ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই পরিচালিত অভিযানে ওই এলাকার আনুমানিক ৩ কিলোমিটার ব্যাপী অবৈধ বিতরণ ১ ইঞ্চি লাইন তুলে ফেলা হয়। এতে করে ওই এলাকাগুলিতে অবৈধ সংযোগ নেয়া প্রায় ১ হাজার বাসাবাড়ির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। অভিযান চলাকালে অবৈধ সংযোগ কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও রাইজারগুলিও খুলে জব্দ করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আজকের এই অভিযান চলাকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপ-ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, সহ-ব্যবস্থাপক ইদ্রিস আলী, সহ-ব্যবস্থাপক সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, সহ-কর্মকর্তা এহসানুল হক প্রমুখ সহ তিতাসের কারিগরি টিমের শ্রমিকগণ।
পূর্ব সদরপুর এলাকার দিনভর অভিযানের ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জোবিঅ) এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ সায়েম জানান, ‘আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার ব্যাপী অবৈধ সংযোগগুলি বিচ্ছিন্ন করেছি। অবৈধ সংযোগকারীরা আমাদের মূল গ্যাসের সরবরাহ লাইন থেকে অবৈধভাবে নিম্নমানের পাইপ ব্যবহার করে অবৈধ সংযোগ প্রদান করেছে। এতে আনুমানিক প্রায় ১ হাজার বাসাবাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
গণমাধ্যমকে তিনি এসময় আরও জানান, যারা এসব অবৈধ সংযোগ গ্রহন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এজন্য সকল বাড়ীওয়ালাদের উচিত অবৈধভাবে এরকম ঝুঁকি নিয়ে গ্যাস সংযোগ গ্রহন না করা। এরপরও যদি তারা এরকম অবৈধভাবে গ্যাস লাইন ব্যবহারের চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনী প্রক্রিয়ার ভিতরে যাবো।
এই এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, আশুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সদরপুর এলাকায় গ্যাসের বৈধ সংযোগ না থাকায় স্থানীয় শাহজাহান এর নেতৃত্বে একটি কুচক্র রাইজার প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে কয়েক’শ বাড়িওয়ালাকে এনে দেয় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। পরে খবর পেয়ে গত নভেম্বর মাসে এ গ্যাস সংযোগগুলো তিতাস কর্তৃপক্ষ বিচ্ছিন্ন করে দেন। মাস যেতে না যেতে বিচ্ছিন্ন সংযোগ গুলোতে পুনরায় সংযোগ স্থাপনে মরিয়া হয়ে উঠে কুচক্রী মহলের ওই দালাল চক্রটি। এরই মধ্যে প্রত্যেক বাড়িওয়ালার থেকে রাইজার প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে পুনরায় তিতাসের বিচ্ছিন্নকৃত সংযোগ অবৈধভাবে নিম্নমানের সংযোগ পাইপ দিয়ে পুনরায় গ্যাস সংযোগ প্রদান করেছেন ।
আজকের এই অভিযানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক( ইন্টেলিজেন্স ) মুন্সি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল ঘটনাস্থলে ।