ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর জিরাবো ডাক্তার বাড়ি এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর সাভার জোনাল অফিস। বুধবার (০১ জানুয়ারি) তিতাসের সাভার জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ সায়েম এর নেতৃত্বে সারাদিন ব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওই দুই এলাকার আনুমানিক ৩ কিলোমিটার ব্যাপী অবৈধ বিতরণ লাইন তুলে ফেলা হয়। এতে করে ওই এলাকাগুলিতে অবৈধ সংযোগ নেয়া প্রায় ২ হাজার বাসাবাড়ির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। অভিযান চলাকালে অবৈধ সংযোগ কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও রাইজারগুলিও খুলে জব্দ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
অভিযান চলাকালে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ-ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, সহ-ব্যবস্থাপক ইদ্রিস আলী, সহ-ব্যবস্থাপক সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান নয়ন, সহ-কর্মকর্তা এহসানুল হক প্রমুখ সহ তিতাসের কারিগরি টিমের শ্রমিকগণ।
অভিযানের ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (জোবিঅ) এর ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোঃ সায়েম জানান, ‘আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া অভিযানে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার ব্যাপী অবৈধ সংযোগগুলি বিচ্ছিন্ন করেছি। অবৈধ সংযোগকারীরা আমাদের বৈধ ৪ ইঞ্চি লাইন থেকে অবৈধভাবে ২ ইঞ্চি ও ১ ইঞ্চি সংযোগ পাইপ ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিতরণ লাইন স্থাপন করেছে। আমরা সেসব তুলে ফেলেছি, তাতে আনুমানিক প্রায় ২ হাজার বাসাবাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
গণমাধ্যমকে তিনি এসময় আরও জানান, যারা এসব অবৈধ সংযোগ গ্রহন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবে। এজন্য সকল বাড়ীওয়ালাদের উচিত অবৈধভাবে এরকম ঝুঁকি নিয়ে গ্যাস সংযোগ গ্রহন না করা। এরপরও যদি তারা এরকম করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব
তবে সরেজমিন ডাক্তার বাড়ী এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয় যারা অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করছেন তাদের ভিতরে একজন নারী ভিডিও বক্তব্যে জানান, এই এলাকার হাজী খোরশেদ নামের এক ব্যক্তির নতুন নির্মিত বহুতল ভবনের অবৈধ সংযোগ থেকে তার সংযোগটিও তিনি নিয়েছেন। এছাড়া তার মতো আরও অনেকে ওখান থেকেই অবৈধ সংযোগ নিয়েছেন। এছাড়া প্রতি মাসে রাইজার প্রতি টাকাও নেয়া হয়, কিন্তু কে টাকা নেয় সেটা তার জানা নাই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন বাড়িওয়ালা জানান, এই এলাকার কুচক্রী মহলের দুই সদস্য জুয়েল এবং রমজান সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ রাইজার প্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে সংযোগ প্রদান করে থাকে।
তবে হাজী খোরশেদ, জুয়েল ও রমজানের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় এব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।
আজকের এই অভিযান চলাকালে ওই এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলো।