মোঃসোহান আহমেদ সানাউল,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
‘তরুণদের বিকল্প নেই ‘তরুণরা এগিয়ে আসলেই একটি আধুনিক শহর তৈরি করা সম্ভব।বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্যা আর্ট এন্ড ক্লাইমেন্ড পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত গ্লোবাল ইউথ সামিট-2023 এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার (১৭ই নভেম্বর) ঢাকা উত্তরের মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল-সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত তরুণরা এগিয়ে এলে এই দেশ চেঞ্জ হবে, এই শহর চেঞ্জ হবে।তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি।তাই বলছি তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে আজও দাবায়ে রাখা যাবে না।
আতিক বলেন, বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।এর জন্য দায়ী তিনটি ‘সি’ ক্লাইমেট চেঞ্জ, কোভিড এবং কনফ্লিক্ট।আজ রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে।এই যুদ্ধে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহার হতো, তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে যেত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। এছারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে।দিন দিন সেখানে চাষাবাদ অনুপযোগি হয়ে পরছে। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকাসহ পুরো দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই এ ধরনের সামিটের মাধ্যমে ভয়েস রেইজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি করপোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা দুবছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গে প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এত নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কতজন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।’
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই,বাংলাদেশের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এমপি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো.আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড.কাজী মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।