বাংলার রূপ নিউজ ডেস্কঃ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন উন্নয়নের মান পাল্টাতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৪০০কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। পদ্মাসেতুর মূল কাঠামো থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে লাইন সঞ্চালনের জন্য আলাদা করে আরো সাতটি পিলার বসানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত ১২ হাজার কোটি টাকা থেকেই নদীর গভীরে তৈরি হচ্ছে এই পিলারগুলো। আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন হবে।
আর এই কাজ সম্পন্ন হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো মানুষের জীবনে উন্নয়নের মান আরো পাল্টে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পদ্মা নদী পার হয়ে এই বিদ্যুৎ যাবে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে।
পদ্মা সেতুর পাইলিং এর জন্য যে শক্তিশালী হেমার বাংলাদেশে আনা হয়েছে তা দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সাতটি পিলার। ৪০০ কেভি হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন হওয়ায় পদ্মা সেতুর স্টিলের কাঠামো তে এই লাইন নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যেই এই পিলারে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
গত বছরের জুনে মাটি পরীক্ষা করে বিদ্যুতের পিলারের কাজ শুরু করেছে সেতু বিভাগ আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সঞ্চালন এর সম্পূর্ণ কাজ সেতু বিভাগ বিদ্যুৎ বিভাগকে বুঝিয়ে দিবে।তবে বিদ্যুৎ বিভাগ এই কাজটা আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সেতু বিভাগকে তাগিদ দিয়েছে।
এব্যাপারে সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, তবে কাজের অগ্রগতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ আমরা কাজটি সম্পন্ন করতে পারব। তিনি বলেন সাতটি পিলার বসাতে মোট ৩৬ টি খুটি নদীর তলদেশে প্রবেশ করাতে হচ্ছে।পদ্মার উপর এই পিলার গুলোর মধ্যে দূরত্ব ৮৩৬ মিটার করে।