বাংলার রূপ,নিজস্ব প্রতিবেদক।।
প্রানঘাতি করোনা ভাইরাসের তান্ডবে মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে গোটাবিশ্ব। আর সেই কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাণঘাতি করোনাবাইরাস সংক্রমণ রোধে দিন রাত পরিশ্রম করে, নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়ী বাড়ী পৌছিয়ে দিচ্ছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোহাদ্দেস হোসেন।
ধামরাই উপজেলার যে কোন এলাকা থেকে ফোন পেলেই খাদ্য সংকটে পড়া পরিবারে বাড়ী গিয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান তিনি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দিনরাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও নেতা কর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাতেও উপজেলার কালামপুর, রঘুনাথপুর, যাদবপুর, শরীফবাগ,নাবরাবণ, আশুলিয়া,ইসলামপুর ঝৃষি পাড়া ঘুরে ঘুরে নিজের গাড়ী করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ৬ হাজার পরিবারকে চাউল, ডাল, তৈল, আলু, লবণ, পেয়াজ ও একটি করে সাবান বিতরণ করেছেন।
আরো ২ হাজার প্যাকেট তৈরি করা হচ্ছে। তিনি প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করবেন। শনিবার (০৯ এপ্রিল) বিকেলে ধামরাই যাত্রাবাড়ি মাঠে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
তবে সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার খাদ্যসামগ্রী পাওয়া কয়েকটি পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ভাবতেও পারিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের বাড়ীতে এসে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যাবেন। খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
এই দূর্যোগের সময়ে বাড়ি এসে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাওয়া। কল্পনাও করতে পারি নি তিনি আমাদের বাড়িতে আসবেন।
এই সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আমজাদ হোসেন, ধামরাই পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানাউল হক সুজন, ছাত্রলীগ নেতা তুষার, পলাশ প্রমুখ।
এই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে ধামরাই উপজেলার যে সকল পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা আমাদের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে আমি নিজে গাড়ী নিয়ে তাদের বাসায় খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দেব।
এর পূর্বে উপজেলা পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে ওষুদের দোকান, মুদি দোকান ও কাচা বাজারের সামনে তিন ফিট অন্তর অন্তর গোল বৃত্ত একেঁ দিয়ে ছিলেন ।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি আরো বলেন, জনসাধরণকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলা ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা এবং প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে