মাসুদ রেজা,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শিথিল করায় চির চেনা রূপে ফিরেছে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের সকল মহাসড়ক। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি, মহাসড়কে খানাখন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত নলকা ব্রিজের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় কড্ডা ও নলকা ব্রিজের প্রায় ২২কিলোমিটার জুড়ে গাড়ি চলছে থেমে মাঝে মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
সোমবার (১৯ জুলাই) ভোর রাত থেকে গাড়িগুলো কখনও থেমে থেমে আবার কখনও ধীরে ধীরে চলছে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে একসঙ্গে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় সকাল থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় হতে ২৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এতে করে ঢাকা থেকে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আসা মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এছাড়া যারা গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন তাদেরও যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় হতে হাটিকুমরুল আসতে ২ ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে।
এছাড়া ঢাকামুখী কাঁচামাল বহনকারী পরিবহনগুলো বেশি বিপাকে পড়েছে।
অপরদিকে, হাটিকুমরুল-বনপাড়া রুটের গোঁজা ব্রিজ পর্যন্ত ও বগুড়া রুটের চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
মহাসড়কের নলকা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ওঠার আগেই গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হয় এবং সেতুর ওপর ২০-২৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালালে সেতুতে কম্পন সৃষ্টি হয়।
তবে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দ ও নলকা ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচল একটু বিঘ্ন হচ্ছে।
এছাড়াও নলকা সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এ সব কারণে নলকার পূর্বপাশ থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকা পর্যন্ত মাঝে মধ্যে জটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানজট স্থায়ী না। মহাসড়কের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে হাইওয়ে পুলিশ রাত-দিন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।